শেখ নাসির উদ্দিন, খুলনা প্রতিনিধি: আজ শনিবার (২৬ মার্চ) বিকাল ৩ টায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন উপলক্ষ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগরের উদ্যোগে নগরীর বায়তুন নুর উত্তর গেটে সংক্ষিপ্ত র্যালি পূর্বক সমাবেশ নগর সভাপতি মুফতি আমানুল্লাহ সভাপতিত্বে ও নগর সেক্রেটারী শেখ মোঃ নাসির উদ্দিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়। র্যালি পূর্বক সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা জেলা সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল্লাহ ইমরান। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নগর সহ সভাপতি মুফতী মাহবুবুর রহমান, শেখ হাসান ওবায়দুল করিম, নগর জয়েন্ট সেক্রেটারী মাওঃ ইমরান হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওঃ দ্বীন ইসলাম, মাওলানা সাইফুল ইসলাম, প্রচার ও দাওয়াহ্ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান, ফেরদাউস গাজী সুমন, মাওলানা আব্বাস আমিন, মোঃ মঈন উদ্দিন ভূইয়া, আলহাজ্ব মোঃ মোমিনুল ইসলাম, মোল্লা রবিউল ইসলাম তুষার, মুফতী শেখ আমীরুল ইসলাম, মাওলানা এইচ এম খালিদ সাইফুল্লাহ্, মাওলানা হাফিজুর রহমান, এ্যাডভোকেট মোঃ কামাল হোসেন, আলহাজ্ব মোঃ আমজাদ হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা জিএম কিবরিয়া, আলহাজ্ব সরোয়ার হোসেন বন্দ, আলহাজ্ব আব্দুস সালাম, মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মাসুম, আলহাজ্ব সফিউল ইসলাম, মোঃ আল-আমিন, শ্রমিক নেতা আবুল কালাম আজাদ, মোঃ মুরাদ গাজী, যুবনেতা আলহাজ্ব আবুল কাশেম, মোঃ ইমরান হোসেন মিয়া, ছাত্রনেতা মুহাঃ ইব্রাহিম ইসলাম আবীর, আব্দুল্লাহ আল মামুন, নুর আহমদ, মোস্তফা আল গালিব, হাবিবুল্লাহ মেজবাহ প্রমুখ। সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, আজ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, স্বাধীনতার ৫১তম বার্ষিক উদযাপন করছি।

বাঙালি জাতির সবচেয়ে গৌরবের দিন, পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর দিন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালে রাতের পর এই দিনে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার ডাক দেওয়া হয়েছিল দেশবাসীকে। সেই ঘোষণার আলোকেই মরণপণ লড়াই এবং রক্তসমুদ্র পাড়ি দিয়ে বীর বাঙালি জাতি ছিনিয়ে আনে জাতীয় ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতা। বিশেষ অতিথি অধ্যাপক আব্দুল্লাহ ইমরান বলেন, শহীদের রক্তে অর্জিত এই স্বাধীনতাকে আজও আমরা পূর্ণতা দিতে পারিনি। এখনও মানুষের মৌলিক অধিকারের জন্য লড়াই করতে হয়।ভোটবিহীন নির্বাচন,অনহারে জীবনযাপন, হত্যা, গুম,খুন, হানাহানিতে, দ্রব্যমূল্যের ক্রয়ক্ষমহীনতা যেন স্বাধীন বাংলার নিত্যকার ঘটনা।যা প্রমাণ করে দেশ স্বাধীন হলেও প্রকৃতপক্ষে আমরা স্বাধীনতার স্বাদ পায়নি। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধগতির প্রতিবাদ জানিয়ে সরকারের কড়া সমালোচনাও করা হয় সমাবেশে। সমাবেশে আগামী ৩১ শে মার্চ ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় মহাসমাবেশ সফল করার আহ্বান জানান। সমাবেশ শেষে এক বর্ণাঢ্য র্যালি নিউমার্কেট এলাকা হতে শুরু হয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।